ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি মারপিটের ঘটনায় সালিস বৈঠকে বসার আগমুহূর্তে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন পরিষদে জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের একটি মারপিটের ঘটনায় সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শওকত মোল্লা (৬০), আলাউদ্দিন মোল্লা (৪৫), নজির মণ্ডল (৪৫), সেলিম মণ্ডল (৪০), শাহজাহান আলী (৪৫), আকবার আলী মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লা (১৭), আমিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫)। তাঁদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে ছয়জনকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০ জুলাই রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম আলী মোল্লার ছেলে বাবলু মোল্লা ওরফে ঘেনার ওপর হামলা করেন স্থানীয় আবদুল মালেক মোল্লার সমর্থকেরা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে আজ সালিস বৈঠক ডাকেন। আজ বিকেল চারটার দিকে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, জামাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সংসদ সদস্য উপস্থিত হওয়ার আগেই উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ছয়জনকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইউপির চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন মণ্ডল বলেন, একটি মারামারির ঘটনা নিয়ে এলাকায় যাতে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সালিস বৈঠক ডাকা হয়। সালিসে উভয় পক্ষের চারজন করে আসতে বলা হলেও দুই পক্ষই দল বেঁধে চলে আসে। সংসদ সদস্য আসার আগে কথা–কাটাকাটি থেকে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, জামাল ইউনিয়ন পরিষদের একটি সালিসের আগে উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়ায়। ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।