সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে আটকে রাখার চার মাস পর পাঁচ বছরের মেয়েকে আদালতের নির্দেশে ফিরে পেয়েছেন মা। আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের আদালতের মাধ্যমে পুলিশ মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে জগন্নাথপুরের ঈসা খানের সঙ্গে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শিপা বেগমের বিয়ে হয়। এই দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর শিপা বেগমকে তাঁর স্বামী ঈসা খান মারধর করেন। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করেন। ৩১ অক্টোবর আদালত ঈসা খানের নামে সমন জারি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঈসা খানের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে আটকে রাখেন।
এ বিষয়ে শিপা বেগম বলেন, মেয়েকে আটকে রাখার সাড়ে তিন মাস পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্বামীর বাড়িতে মেয়েকে দেখতে যান তিনি। কিন্তু সে সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন মেয়েকে লুকিয়ে রেখে তাঁকে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ আদালতে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। চার মাস পর আজ তিনি তাঁর মেয়েকে ফিরে পেয়েছেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।