দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বগুড়ায় মশালমিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একই সময়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মহাসড়কের পণ্যবাহী একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বগুড়ার পুলিশ সুপারের বাসভবন, সদর থানার সামনের সড়কসহ কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ফুলদীঘি সিয়েস্তা হোটেলের সামনে থেকে মশালমিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে বিএনপি ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, মেরুদণ্ডহীন কমিশনকে দিয়ে প্রহসনের পাতানো নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আরেকটি ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। জনতার আন্দোলনের মুখে তফসিল বাতিল করতে বাধ্য হবে নির্বাচন কমিশন।
রাত ৯টার পর শহরের ইয়াকুবিয়া মোড় এলাকায় এবং সদর থানার পাশে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর মধ্যে একটি ককটেল পুলিশ সুপারের বাসভবনের মধ্যে পড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া সদর থানার পাশে ঝাউতলা এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় এলাকাতেও বিকট শব্দ শোনা গেছে। তবে সেটি ককটেল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাত পৌনে ৯টার দিকে শাজাহানপুরের ফুলদিঘীতে মহাসড়কে একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। রাত আটটার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর ফটকি সেতুর কাছে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বগুড়া শহরে আনন্দমিছিল করেছেন। রাত আটটার দিকে শহরের সাতমাথায় আনন্দমিছিল–পরবর্তী সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান ছাড়াও অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ম রাজ্জাকের নেতৃত্বে রাত আটটায় সারিয়াকান্দি সদরেও আনন্দমিছিল করা হয়েছে।