চাঁদপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া দুই নবজাতকের মৃত্যু, অন্য দুজনকে ঢাকায় স্থানান্তর

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে গতকাল বুধবার একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্য দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চাঁদপুর শহরের প্রিমিয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গতকাল সকালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ নিপা রানী সরকার (২৫)। তিনি চাঁদপুর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার স্টেশনারি–দোকানি লিটন সরকারের স্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ের দুই মাস আগে জন্ম নেওয়া চার নবজাতক পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে মারা যায়। এরপর রাতে বাকি দুজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

গৃহবধূ নিপার সঙ্গে ঢাকায় গেছেন তাঁর মা মৌমিতা রানী। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে তিনি মুঠোফোনে আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা এক ছেলে ও এক মেয়ের অবস্থা এখনো ভালো নয়। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিপা রানীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।

প্রিমিয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা কর্মকর্তা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, নিপা রানী সরকার গতকাল সকাল আটটার দিকে প্রসবব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এরপর সবকিছু দেখে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন তাঁর প্রসব হবে। এরপর তাঁকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাভাবিকভাবে পরপর এক ছেলে ও তিনটি মেয়ের জন্ম দেন নিপা রানী। জন্ম নেওয়ার পর নবজাতকদের পর্যবেক্ষণে ইনকিবিউটরে রাখা হয়। কিন্তু দুটি মেয়ে জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর এ হাসপাতালে মারা যায়।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক হোসেন বলেছেন, ৩০ সপ্তাহে স্বাভাবিকভাবে চারটি সন্তান জন্ম হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দুজনের মৃত্যুর পর গতকাল রাতেই অন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।