খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী। আজ শনিবার বিকেলে ওই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিল ডাকাতিয়া রক্ষা কমিটি। ফুলতলা বাজারের আসাদ রফি গ্রন্থাগার চত্বরে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার। উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব আবদুল আলিম মোল্যা, ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনির হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান খান, ফুলতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে শেখ আবুল বাশার বলেন, বিল ডাকাতিয়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল। একসময় এই বিল কৃষি ও মৎস্যজীবী মানুষের জন্য আশীর্বাদ ছিল। আজ সেই বিল খুলনা ও যশোর এলাকার মানুষের কাছে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। বিল ডাকাতিয়ায় এই অঞ্চলের ছয়টি উপজেলার মোট ৩০ হাজার একর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এসব জমির মধ্য দিয়ে ১১টি নদী প্রবাহিত হলেও একমাত্র শোলমারী নদী ছাড়া বাকি সব কটিই সম্পূর্ণরূপে ভরাট হয়ে গেছে। বিল ডাকাতিয়ার পানি বের হওয়ার একমাত্র চ্যানেল শোলমারী নদীটি পলি পড়ে আংশিক ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এসব অঞ্চলে। এতে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দুই মাস ধরে পানিবন্দী অবস্থায় কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা।
এমন পরিস্থিতিতে বিল ডাকাতিয়াকে বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানায় বিল ডাকাতিয়া রক্ষা কমিটি। পাশাপাশি দ্রুত পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, ব্যাংক ও এনজিও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ, কৃষি ও মৎস্যজীবীদের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।