চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান সামনের দুটি অটোরিকশাকে পিষ্ট করে আরও একটি পিকআপকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে তিনটি গাড়িই দুমড়েমুচড়ে গেছে। কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন মো. ফরিদ (৩৩) ও ইকবাল হোসেন (৪৫) নামের দুই ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার সুফিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদ মিরসরাই পৌরসভার মধ্যম তালবাড়িয়া এলাকার বকতিয়ার খানের ছেলে। তিনি কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়া অটোরিকশার চালক ছিলেন। নিহত আরেকজন ইকবাল হোসেন একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপের চালক। এ দুর্ঘটনায় শহীদুল ইসলাম (৩০) ও মিজানুর রহমান(৩৫) নামের আরও দুজন গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে আসা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, চালক ঘুমচোখে গাড়ি চালানোয় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের ধারণা। তবে ঘটনার পরপরই কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রামগামী মালবাহী দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশ ধরে চলা একটি বেকারি পণ্যবাহী অটোরিকশা, আরেকটি খালি অটোরিকশা ও কাঠবোঝাই একটি মিনি পিকআপকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এ সময় বিকট আওয়াজে কাঠবাহী পিকআপটি রাস্তার পাশের একটি গাছে আঘাত করে আটকে পড়ে। কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুটি অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় পিকআপচালক ইকবাল হোসেন ও অটোরিকশাচালক মো. ফরিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত শহীদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দলটির সদস্য বিশ্বজিৎ কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে হওয়ায় খবর পেয়েই দ্রুত সাড়া দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে ও নিহত দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছি।’
জানতে চাইলে দুর্ঘটনাস্থলে থাকা জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় সুফিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করেছি।
ধারণা করছি, কাভার্ড ভ্যানের চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে জিম্মায় নেব আমরা।’