নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ সময় তাঁর সাতজন কর্মীর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের ভাই। আগামীকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে এখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের কর্মী শহিদুল ইসলামের (৫০) সাতশৈল গ্রামের বাড়িতে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা করে। এর কিছুক্ষণ আগে শহিদুল ইসলাম নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দুর্বৃত্তরা তাঁর শোবার ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে এবং তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার কিছুক্ষণ আগে দুর্বৃত্তরা উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের জমসেদ আলী, নাজমুল হোসেন ও পাঁচুড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন ও ইদ্রিস আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা এসব বাড়ির দরজা, জানালা ও বেড়া ভাঙচুর করে। বাড়ির লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে।
আজ সোমবার দুপুরে জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের ভাই শরিফুল ইসলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি নিজের পরাজয় বুঝতে পেরে আমার কর্মীদের ওপর বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁর কর্মীরাই পরিকল্পিতভাবে আমার নির্বাচনী কর্মীদের ওপর একের পর এক নির্যাতন শুরু করেছেন। এর আগে আমাকেও সোনাপুর বাজারে প্রকাশ্যে মারপিট করে আহত করেছেন।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁর কোনো কর্মী মারপিট বা বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। নিজেরা হেরে যাওয়ার গ্লানি ঢাকতেই প্রতিপক্ষ এসব মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে আহত শহিদুল ইসলামের বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।