গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার জুমার নামাজ। আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজে মূল ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা মাঠসংলগ্ন সড়ক, মহাসড়ক ও ফাঁকা জায়গায় নামাজ আদায় করেন।
আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। এ পর্বে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে ভরে যায় পুরো ইজতেমা মাঠ। এর মধ্যে ইজতেমার জামাতের সঙ্গে জুমা নামাজ পড়তে আজ সকাল ৯টা থেকেই দল বেঁধে ইজতেমা মাঠের দিকে আসতে থাকেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা। একপর্যায়ে মাঠে জায়গা না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন রাস্তায়।
জুমার নামাজ পড়ান (ইমাম) ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। নামাজ শুরু হয় বেলা ১টা ৪৭ মিনিটে। মানুষের ঢলে মাঠে জায়গা না পেয়ে অনেকেই বসে পড়েন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাটাগেট ও কামারপাড়া-মন্নুগেট সড়কে। এতে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ইজতেমা মাঠের দিকে। মুসল্লিরা চেষ্টা করেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের। এর মধ্যেই বেলা ১টা ৪৭ মিনিটে মাইকে ভেসে আসে নামাজের ইকামত। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় সব ছোটাছুটি। যে যেখানে ছিলেন, বিছানা পেতে দাঁড়িয়ে পড়েন নামাজে।
মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে মন্নুগেট-কামারপাড়া সড়কে নামাজ আদায় করেন গাজীপুরের পূবাইল থেকে আসা মো. আহসান আলী। নামাজ শেষে আহসান আলী বলেন, তিনি প্রথম পর্বের ইজতেমায়ও জুমার নামাজ পড়তে এসেছিলেন। এবারও এসেছেন। কিন্তু দুবারের একবারও মূল ইজতেমা মাঠে জায়গা পাননি। আলী আহসান বলেন, ‘মাঠে ঢোকার জন্য অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু মানুষের ভিড়ে ঢুকতে পারছিলাম না। এর মধ্যেই নামাজের ইকামত হয়। পড়ে তাড়াহুড়ো করে সড়কেই বসে পড়ি।’
তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিরোধের কারণে কয়েক বছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। গত রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগের প্রথম পক্ষ বা মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা। চার দিন বিরতি দিয়ে আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পক্ষ বা মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।