রওশন এরশাদ
রওশন এরশাদ

ময়মনসিংহে রওশান এরশাদ ও সাবেক জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

ভয়ভীতি দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার অভিযোগে ময়মনসিংহের সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও সাবেক জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রওশন জাহানের আদালতে মো. খালেদুজ্জামান পারভেজ (বুলবুল) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

বাদী খালেদুজ্জামান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন তিনি ন্যাপের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ নগরের মোহাম্মদ আলী রোডে। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও পরে তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় প্রতীক ‘কুড়েঘর’ নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে তাঁর বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা সাদা পোশাকের ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আসামি রওশন এরশাদের প্ররোচনায় ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বাক্ষর নেন। এতে তাঁর বৈধ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়।

মামলার বাদী খালেদুজ্জামান পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তখন পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে পারিনি। সেই রাতে জেলা প্রশাসক সাদাপোশাকে লোক পাঠিয়ে তুলে নিয়ে যান। সেদিন রিভলবার দেখিয়ে তাঁরা যা করেছে, ভোলার মতো নয়। সেই কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে উঠে। এখন ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি।’

ময়মনসিংহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে।