ঈদের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন ফরিদপুরের সালথার তিন বন্ধু। কিন্তু পথে নিয়ন্ত্রণ হারালে তাঁদের মোটরসাইকেলটি চাপা দেয় এক পথচারীকে। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারা যান মোটরসাইকেলের চালকও।
ঈদের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নড়াইল সদর উপজেলার ডৌয়তলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ফরিদপুরের সালথার মো. আলসাহাব মাতব্বর (২০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পথচারী তরিকুল শেখ (৪৫)।
দুর্ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী বাকি দুজন। তাঁরা হলেন মুসতাক সর্দার (২১) ও মুস্তাকিন (১৯)। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নড়াইলের তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শওকত হোসেন বলেন, ওই তিন বন্ধু দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় এক পথচারীকে চাপা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে একটি সুপারিগাছে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেলের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অপর দুই আরোহী। পরে পথচারীসহ আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পথচারী তরিকুল শেখ। তিনি লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অলোক কুমার বাগচী বলেন, একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে আনার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, নিহত আলসাহাব সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামের আসাদুজ্জামান মাতুব্বরের ছেলে। তিনি নগরকান্দা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আলসাহাব বড়। আহত মুসতাক মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইতালিপ্রবাসী রাজ্জাক সরদারের ছেলে। আর মুস্তাকিনের পরিচয় জানা যায়নি।