ঝিনাইদহে মানব পাচার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহে মানব পাচার মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন।

সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহেশপুর উপজেলার নলপাতুয়া গ্রামের রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী হোসেন। তাঁরা পলাতক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন এবং বাপ্পী হোসেন পারিবারিক পরিচয়ের সূত্র ধরে ঝিনাইদহ সদর থানার সোনারদাড়ি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়া–আসা করতেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় ওই ব্যক্তির ১৩ বছরের মেয়েকে সেলাই মেশিনের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে তাঁদের কাছে মেয়েকে তুলে দেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। এরপর তাঁরা ওই মেয়েকে ঝিনাইদহের উদ্দেশে নিয়ে যান। এরপর তিন মাস ওই মেয়ের সঙ্গে তার মায়ের যোগাযোগ ছিল। পরে তাঁরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর আসামিদের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তাঁরা ঘোরাতে থাকেন।

পরে ২০১২ সালের ১৩ মে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তাঁরা দিতে অস্বীকার করেন। পরে ওই মাসেরই ৩১ তারিখ ওই মেয়েকে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করা হয়েছে—এমন অভিযোগে সদর থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করেন ওই মেয়ের মা।

ওই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ২০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক বুধবার রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ করার দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পিপি বজলুর রহমান জানান, ‘মামলার যে রায় হয়েছে, তাতে আমরা খুশি।’