বঙ্গোপসাগর
বঙ্গোপসাগর

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি ২ দিনেও

বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের তোড়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি ট্রলারডুবির ঘটনার দুই দিন পরও নিখোঁজ পাঁচ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন উপজেলার ছোটমাছুয়া গ্রামের ইমাদুল হক আকন, আল আমিন শাহ, বাহাদুর আকন, জুয়েল শাহ ও ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর জুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান।

‘এফবি ভাই-ভাই’ নামের ট্রলারটির মালিক নজরুল ইসলাম মাঝি বলেন, গত ২৬ জুন বিকেলে উপজেলার তুষখালী বাজার থেকে ১২ জন জেলে ও মাঝি নিয়ে ট্রলারটি মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। গত রোববার রাতে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের নারকেলবাড়িয়া এলাকায় ছিল। রাত সোয়া ১১টার দিকে হঠাৎ ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১২ জেলে ও মাঝি পানিতে পড়ে যান। পরে ওই রাতেই তিনটার দিকে একটি মাছ ধরার ট্রলার সাত জেলেকে উদ্ধার করে পটুয়াখালীর মহীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। বাকি পাঁচ জেলে নিখোঁজ আছেন।

উদ্ধার হওয়া জেলে মোশারেফ শাহ বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আমাদের সাত জেলেকে নিয়ে উদ্ধারকারী ট্রলারটি মহীপুর পৌঁছায়। ট্রলারডুবির পর আমরা প্রায় চার ঘণ্টা বঙ্গোপসাগরে ভেসে ছিলাম। দীর্ঘ সময়ে ভেসে থাকায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মহীপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আজ সকালে বাড়ির দিকে যাব।’

নিখোঁজ জেলে বাহাদুর আকনের বড় ভাই সোহেল আকন বলেন, ‘জানি না আমার ভাই বাহাদুর বেঁচে আছে কি না। আমাদের বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে।’

এ বিষয়ে উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে এ সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে। ওই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।’