মেহেরপুরে জামায়াত নেতা নিহতের ১২ বছর পর মামলা করলেন ছেলে

মামলা
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও ইউপি সদস্য আবদুল জাব্বার নিহতের ঘটনার ১২ বছর পর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহতের ছেলে আবদুল মালিথা বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে মামলার আবেদন করেন। এতে তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) নাহিদুল ইসলামসহ ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর থানার উপপরিদর্শক শরজিদ কুমার ঘোষ, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, উপপরিদর্শক গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জাব্বার জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ইউনিয়ন আমিরের দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে তিনি রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এ কারণে বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দমন করতে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে আবদুল জাব্বারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর হত্যা করে। একটানা ১৫ বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় আদালত ও থানায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশের পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ তৈরি হয়। এ কারণে দীর্ঘ ১২ বছর পর মামলা করেছেন তিনি।

মামলার বাদীর আইনজীবী কামরুল হাসান বলেন, ২০১২ সালে জামায়াত নেতা আবদুল জাব্বারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তৎকালীন পুলিশ সুপার নাহিদুল ইসলাম শেখ হাসিনা সরকারের সুদৃষ্টি পাওয়ার জন্য মেহেরপুরে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশি হেফাজতে বন্দুকযুদ্ধের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এখন সময় এসেছে, ন্যায়বিচার পাবে নিহত ব্যক্তির পরিবার।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া বলেন, যেহেতু আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে, পুলিশ মামলাটির এজাহার নিয়ে তদন্ত করবে।