ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় শিশু হত্যার দায়ে আসাদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবদুল মতিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুল ইসলাম উপজেলার কাপাশহাটিয়া গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ জুলাই হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশপাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আসাদ হোসেন বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ৭ দিন পর পাশের শিশেরদাড়ি মাঠের পাটখেত থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত আসাদের মা আরজিনা খাতুন হরিণাকুণ্ডু থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রমাণ পাওয়ায় আসামি আসাদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই গ্রামেরই একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন আসাদুল ইসলাম। সেই ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছিল। সে সময় শিশু আসাদের বাবা দুলাল হোসেন আসাদুল ইসলামকে চড়থাপ্পড় মেরেছিলেন। এরই জেরে আসাদকে হত্যা করেন আসাদুল ইসলাম।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. বিপ্লব হোসাইন বলেন, আদালত আসামি আসাদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রায়ের বিবরণীতে শিশুটির বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।