ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় মোশররফ হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে তাঁর দেড় লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা সদরের বড্ডাপাড়া এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপর পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের ওমর মিয়া (২৬) তাঁর কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বড্ডাপাড়া গ্রামের মঙ্গল মিয়ার (৩০) বসতবাড়ির সামনে বসে মাদক সেবন ও কেনাবেচা করছিল। এ সময় মঙ্গল মিয়া তাঁদের বসতবাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। এতে কাজ না হওয়ায় প্রতিবেশী মোশাররফ এগিয়ে আসেন। এ সময় মোশাররফের সঙ্গে ওমর মিয়ার বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন মোশাররফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান ওমর।
কিছুক্ষণ পর ওমর মিয়া বাড়ি থেকে ছুরি এনে মোশাররফকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে মোশাররফ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মোশাররফের সঙ্গে থাকা দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছুরি উঁচিয়ে চিৎকার করতে করতে ওমর পালিয়ে যান। পরে মোশাররফকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পর সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ নাথপাড়া ও বড্ডাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওমরের বাবা হানিফ মিয়াসহ (৫০) তিনজনকে আটক করে। তাঁরা সবাই মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মোশাররফ বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দোকান ও গ্যারেজ রয়েছে। সন্ধ্যার পর নতুন রিকশা কেনার জন্য দেড় লাখ টাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় বাড়ির অদূরে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে এগিয়ে যাই। পরে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী ওমরের সঙ্গে আমার কথা–কাটকাটি হয়। এ সময় সে আমাকে দেখে নেওয়ার (খুন করার) হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সে বাড়ি থেকে ছুরি এনে আমাকে আঘাত করে আমার সঙ্গে থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে ছুরি উঁচিয়ে চিৎকার করতে চলে যায়।’
এস আই জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।