সিলেট মহানগর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে শিগগিরই সেবাদান কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান। আজ রোববার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান কোতোয়ালি থানার লামাবাজার, বন্দরবাজার ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন।
মো. জাকির হোসেন খান বলেন, সিলেট মহানগর এলাকার থানাগুলোতে কর্মকর্তারা যোগদান করেছেন। বাকিরাও খুব তাড়াতাড়ি কর্মস্থলে ফিরবেন। তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়েছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের সব কটি থানা ও ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া নথিপত্র পুনরুদ্ধারে আদালতের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। পুলিশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
সিলেটের তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শনকালে সঙ্গে থাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ফাঁড়িগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো মেরামত ও সংস্কারকাজ করতে কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে সিলেট মহানগর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে আজ রোববার সকালে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া মালামাল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফিরিয়ে দিতে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকে লুট হওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত সিলেটের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেটের সব কটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি।