কেন্দুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র
নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল কবির খানের বিরুদ্ধে পরিষদের গাছ বিক্রি ও কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ রোববার অভিযোগকারীরা বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।

ইউএনও কাবেরী জালাল প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ কাটা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের পৃথক অভিযোগ দুটি তদন্ত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারীদের একজন চংনোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জামাল মিয়া। তিনি ৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তাঁর অভিযোগে বলা হয়, এক মাস আগে সরকারি অনুমতি না নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরিষদ চত্বরের ৩০টি আকাশমণি ও মেহগনিগাছ কেটে ফেলা হয়। পরে গোপনে ওই গাছগুলো তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। ওই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি এলাকার সবাই জানেন। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

অন্য অভিযোগে ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক আবদুল রহিম খান উল্লেখ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে ৪০ দিনের কমসৃজস কর্মসূচির শ্রমিকদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তালিকা দাখিল করেন। পরে তিনি শ্রমিকদের নামে মোবাইল সিম উঠিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। প্রকল্পের জন্য দেওয়া তালিকায় যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের কোনো দিন রাস্তায় কাজ করতে দেখেননি কেউ। চিতোলিয়া গ্রামের বাবুল ঠাকুর ও আবুল মিয়া নামের দুজন শ্রমিকও এমন অভিযোগ করেছেন।

আবদুল রহিম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। আগে মাটিকাটার কাজ করতাম। অহন বয়স হইছে। চেয়ারম্যান কর্মসৃজনের তালিকায় আমার নাম ব্যবহার কইরা টেহা উঠায়। আমি ১৩ জুন ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ করছি। অহন অভিযোগ উঠাইয়া নেওনের লাইগ্গা চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন তাগদা দিতাছে।’

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মানুযায়ী কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। টাকা আত্মাসাৎ করা হয়নি। আর কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা। একটি কুচক্রী মহল তাঁকে হয়রানি করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছেন। ইতিমধ্যে শ্রমিক বাবুল ঠাকুর ও আবুল মিয়া তাঁদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে তিনি জানান।