গাজীপুরের বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকানি দেওয়া ও কারখানায় ভাঙচুরের অভিযোগে যৌথ বাহিনী তিন নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে মহানগরীর ভোগরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর এলাকার হযরত আলীর মেয়ে হাসনা আক্তার (২৪), জয়পুরহাট সদরের ধানসিঁড়া গ্রামের আবু হাসানের ছেলে আবদুল মমিন (২২), শেরপুর সদরের চরমাতবাড়ী নয়ানিপাড়া এলাকার আবদুল গফুরের মেয়ে সাজেদা বেগম (২৮), রংপুরের পীরগঞ্জের মির্জাপুর গ্রামের দুখু মিয়ার মেয়ে মেঘলা আক্তার (৩০), খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন (২৩), বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পাগলা শ্যামনগর গ্রামের মাসুম আলী শেখ (২১) ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার মো. রায়হান (২৪)।
পুলিশ জানায়, আসামিরা গাজীপুর মহানগরীর ভোগরা এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে কারখানার বাইরে এসে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য উসকানি দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুরের মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সানকোয়াং কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর মিয়া বাদী হয়ে ভাঙচুর ও শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বাসন থানায় একটি মামলা করেছেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাঁদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।