সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সিলেটের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী সিলেট নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার রাশেদুজ্জামান রাসেল। মামলায় তিনি ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ রোববার দুপুরে সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকবর হোসেন বলেন, শুক্রবার হওয়া মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার অপর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল), সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর, সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর রুহেল আহমদ প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাশেদুজ্জামান কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। গত ৪ আগস্ট মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সিলেট সোবাহানীঘাট এলাকায় হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ সময় সড়কে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর তাঁরা অতর্কিত হামলা চালান। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে ধরে টেনে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতি নিকট থেকে বুকে গুলি করেন। গুলিতে রাসেলের বুকের ডান পাশ ঝাঁজরা হয়ে যায়। পরে তাঁকে সড়কে ফেলে রেখে আন্দোলনকারীদের ওপর হাতবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাঁরা তাঁদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়েও আন্দোলনকারীদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন। তাঁদের হামলায় ছাত্র-জনতা গুরুতর আহত হয়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বুকের ডান পাশ থেকে গুলি বের করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।