হামলায় আহত আকবর হোসেন কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। রোববার রাতে
হামলায় আহত আকবর হোসেন কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। রোববার রাতে

কয়রায় চাঁদা আদায়ে বাধা দেওয়ায় যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে মারধর

খুলনার কয়রা উপজেলায় একটি বাজারের দোকান থেকে চাঁদার টাকা আদায়ে বাধা দেওয়ায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে মারধর করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দেউলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে আহত দুজন হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন (৪৪) ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জামাল হোসেন (৩৫)। এ ঘটনায় আজ সোমবার চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা কামাল রাজু, আলমগীর হোসেন, আবুল কালাম, শাহরিয়ার নাজিমসহ ছয়-সাতজন যুবক গতকাল সকালে দেউলিয়া বাজারের দোকান থেকে চাঁদার টাকা আদায় করছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল হোসেন সেখানে টাকা আদায়ের কারণ জানতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই যুবকেরা জামাল হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন সেখানে গেলে তাঁকেও মারধার করা হয়। পরে আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে জামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলায় আহত জামাল হোসেন কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। রোববার রাতে

দেউলিয়া বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, হামলাকারী যুবকেরা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামের অনুসারী। তাঁরা বেশ কয়েক দিন ধরে দেউলিয়া বাজারের দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিলেন। এতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা হামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তারা কিছুদিন আমার সঙ্গে ছিল। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, তারা মাদকাসক্ত। পরে তাদের আর প্রশ্রয় দিইনি।’ হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।