অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় এবং তাঁদের বাধা দেওয়ায় বুকে ও পিঠে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় চালক নূর ইসলামকে (৪৫)। হত্যাকাণ্ডের আট দিন পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান। এর আগে ৫ অক্টোবর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সার্ডি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নলজানি এলাকার রমজান আলী, চান্দনা পালের মাঠ এলাকার মো. শরীফ ও পুরোনো মালামালের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার শামছুর রহমান জানান, নূর ইসলাম গাজীপুর মহানগরীর চান্না বউ বাজারে ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন এবং গ্যারেজের ব্যবসা করতেন। ৫ অক্টোবর রাতে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন তিনি। পরদিন ভোর পাঁচটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সার্ডি এলাকা থেকে নূর ইসলামকে খুন করে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় নূর ইসলামের ভাগনে শাহীন মিয়া বাসন থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের উপকমিশনার আরও জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি শরীফকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে রমজান আলী ও চোরাই অটোরিকশা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেনকে চান্দনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া দেলোয়ারের ভাঙারি দোকান থেকে অটোরিকশার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে শামছুর রহমান আরও বলেন, নিহত নূর ইসলাম অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলেন এবং বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিনতাইকারীরা নূর ইসলামের বুকে ও পিঠে একাধিকবার ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।