জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া চারজন হলেন ওই এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে দিশা আক্তার (১৭), সবুজ মিয়ার মেয়ে সাদিয়া (১০), গোলাপ আলীর মেয়ে খাদিজা (১০) ও বাবুল মিয়ার স্ত্রী রোকশানা আক্তার (২৫)। তাঁরা উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে রিমা আক্তার (১২) নামের আরও এক শিশু গোসলে নেমেছিল। কিন্তু সে বেঁচে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বালুরচর গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এই গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। দক্ষিণ বালুরচর গ্রামে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ির পাশেই বন্যার পানিতে গোসল করতে নামেন ওই পাঁচজন। একপর্যায়ে চারজন পানিতে ডুবে যান। বিষয়টি টের পেয়ে রিমা আক্তার বাড়িতে গিয়ে সবাইকে খবর দেয়। স্থানীয় লোকজন পানিতে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে ওই চারজনের লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, বন্যার পানিতে একসঙ্গে চার শিশু ও একজন গৃহবধূ গোসল করতে যান। গোসলের একপর্যায়ে শিশু খাদিজা ও সাদিয়া পানিতে থাকা একটি গর্তে ডুবে যাচ্ছিল। এ সময় দিশা ও রোকশানা তাদের বাঁচাতে যান। পরে তাঁরা চারজনই ওই গর্তে ডুবে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ২ জুলাই থেকে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত সোমবার থেকে পানি নামতে শুরু করে। পানি নেমে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দ্বিতীয় দফায় গত বুধবার থেকে পানি আরও বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় দফায় পানি বেড়ে আবারও বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে আবারও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। তবে গতকাল শনিবার সকাল থেকে খুব দ্রুতগতিতে পানি কমতে শুরু করেছে।