ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের ২ ছাত্রলীগ নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুরের ৮ নম্বর আমলি আদালতের (বোয়ালমারী আদালত) বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরসুন্দর বিশ্বাস শুনানি শেষে তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া দুই নেতা হলেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা আলী ওরফে তমাল (৩১) ও সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম ওরফে রনি (৩০)। তাঁরা দুজনই উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদ ব্যাপারী প্রথম আলোকে বলেন, দুই ছাত্রলীগ নেতার জামিনের শুনানি আজ দুপুর পৌনে ১২টায় ৮ নম্বর আমলি আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ জুলাই।
৯ জুন সন্ধ্যায় বোয়ালমারী বাজারের স্টেশন রোডে নাটমন্দিরের সামনে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশের এক কনস্টেবলের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা আলীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা ও ডিবি পুলিশের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটলে কনস্টেবল মির্জা গোলাম গাউস আহত হন।
এ ঘটনায় ডিবির উপপরিদর্শক মো. হান্নান বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ করা হয়। ঘটনার রাতেই ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাঁদের জামিন দেন আদালত।