চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় স্থানীয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন মুন্সীরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এম এ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কলেজের নিজ কার্যালয়ে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে নানা নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর জেরে চাপের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন ও কলেজ সূত্র জানায়, এম এ মালেক ২০০৯ সালে ওই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের হয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন। কমিটিতে না থাকলেও আওয়ামী লীগের সভা ও মিছিলে সরাসরি অংশ নিতেন। দলের কর্মী হিসেবে নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতেন। সম্প্রতি কোটা ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে তিনি ফেসবুকে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দেন। এতে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন কলেজটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত কয়েক দিন ধরে কলেজটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন তাঁর পদত্যাগের দাবিতে কলেজ এলাকায় বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গতকাল রাত আটটার দিকে কলেজে নিজ কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগ করে কলেজটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক তাজুল ইসলামের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এম এ মালেক। এ সময় কলেজটির একাধিক শিক্ষক, শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করবেন। পদত্যাগী অধ্যক্ষ এম এ মালেক বলেন, তিনি বেশ কিছু ভুল-ত্রুটি করেছেন। এসব স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন।