কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাসহ নানা ঘটনার পর এবার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খানের আপত্তিকর ছবি ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ফয়েজ গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় একটি জিডি করেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জিডির কপি তিনি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
জিডিতে ফয়েজ উমান খান উল্লেখ করেন, ‘আমার নামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ছবি, বিভিন্ন কথোপকথন ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এটি বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে সুপার এডিট করা হয়েছে। এটি ছড়ানোর কারণে আমি বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়েছি।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের করা জিডির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে জেলা ছাত্রলীগ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এর মধ্যে ইন্টারনেটে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাজমুল হোসেনের একটি অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ২৩ জুন এক তরুণী নাজমুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। নাজমুল সম্পর্কে আনোয়ারের ভাগনে। উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নানা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দৃষ্টিগোচর হলে গত বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুসাইন আহমেদ ও কাজল দাসকে দায়িত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খানের ছবি ও কথোপকথনসদৃশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় বিরোধীপক্ষ নানা ষড়যন্ত্রের পরও বর্তমান কমিটি ভাঙতে না পেরে এখন আমার সুপার এডিটেড ছবি ও কথোপকথনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করাসহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ জন্য আমি থানায় জিডি করতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি সাইবার অপরাধ আইনে মামলা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’