ঢাকার ধামরাই উপজেলায় তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীরামপুর এলাকার মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কটি ছাড়েন শ্রমিকেরা।
গ্রাফিকস টেক্সটাইল লিমিটেড নামের ওই কারখানার শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, যাতায়াতের জন্য কারখানার পক্ষ থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা করা ও কারখানায় এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের খাগুরতা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইটবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে গ্রাফিকস টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক বহনকারী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত দুই শ্রমিক নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ শ্রমিক। শ্রমিকেরা জানান, এ ঘটনার পর আজ সকাল ৯টার দিকে কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে তিন দফা দাবি জানান। পরে কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, কারখানার হেলপার ও কোয়ালিটি শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য কারখানার পক্ষ থেকে কোনো গাড়ি দেওয়া হয়নি। অন্য সবার জন্য গাড়ি আছে। শ্রমিকদের সবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরেক নারী শ্রমিক বলেন, ‘সকালে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছি। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ফ্যামিলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইব। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হইব, এসব দাবি জানাইছি। পরে দাবি পূরণ করা হবে জানার পর চইলা আইছি।’
এ প্রসঙ্গে গ্রাফিকস টেক্সটাইল লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘দুর্ঘটনার খবর জানার পর গতকাল রাতেই আমরা আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণের যে দাবি তাঁরা জানিয়েছেন, সে ব্যাপারে আমাদের পলিসি অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিবহনের দাবির বিষয়টি নিয়ে আগামী শনিবার শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় কারখানাটিতে আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।