পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় এক কিশোরকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোর ও তার এক বন্ধু দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করছিল। মেয়েটি তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ওই কিশোর তার বন্ধুর সহযোগিতায় মেয়েটিকে স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। আর সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কিশোরের বন্ধু। পরে তারা বিভিন্ন সময় ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে মেয়েটি রাজি হয়নি। ২৬ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় তারা।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা ওই কিশোর ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে রাতেই ওই কিশোর ও তার বাবা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির বাবাকে মারধর করেন। এ সময় এলাকাবাসী কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পর ওই কিশোর ও তার বাবা বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করেছেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আজ সোমবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ওই কিশোরের বন্ধু পলাতক।