কক্সবাজারের টেকনাফে আরও দুই ব্যক্তিকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার হোয়াইক্যং কম্বনিয়াপাড়ার নুরু ইসলামের ছেলে মো. আবছার (২৮) ও একই ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালিয়াপাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আলম (২৩)। আজ বুধবার সকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়াপাড়ার পাহাড়সংলগ্ন কৃষিজমিতে কাজ করার সময় দুজনকে অপহরণ করা হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় নিজ বসতঘর থেকে বেলাল উদ্দিন নামের আরেকজনকে অপহরণ করা হয়। তাঁকে আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নতুন করে দুই কৃষককে অপহরণের বিষয়টি হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই কৃষককে অপহরণের পর অপহরণকারীরা এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি করেননি। পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এসব অপহরণের ঘটনায় জড়িত। বিষয়টি পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
শনিবার অপহরণ হওয়া বেলাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, বেলালের মুক্তির জন্য অপহরণকারীরা ৪০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। মুক্তিপণ না দিলে বেলালকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বেলালের চাচাতো ভাই ফরিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বেলাল কক্সবাজার শহরের আদালত প্রাঙ্গণে ফটোকপির দোকান করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। শনিবার তিনি বাড়িতে আসেন। তাঁকে দিবাগত রাত তিনটার দিকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যান।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণের অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে শোনার পর পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩৪ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮০ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৭ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।