মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আরও ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে আজ রোববার সকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে বিজিপি ও সেনাসদস্যদের একটি জাহাজে তোলা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দুপুরে তাঁদের নেওয়া হবে বঙ্গোপসাগরে অপেক্ষমাণ মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইনে। এরপর জাহাজটি টেকনাফের সেন্ট মার্টিন উপকূল হয়ে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ে ফিরে যাবে।
একই জাহাজে করে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ৪৫ জন বাংলাদেশিকে কক্সবাজার আনা হয়। তাঁদের বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৪৫ জনের অধিকাংশের বাড়ি কক্সবাজারে। অন্যরা নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁরা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে এক থেকে দেড় বছর কারাভোগ করেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হস্তান্তরপ্রক্রিয়া ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন। তবে তাঁদের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর ১৩৪ জন সদস্য। আজ ভোররাতে মিয়ানমার থেকে আসা ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে কক্সবাজারের নুনিয়াছটার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে আনা হয়। সকাল সোয়া সাতটার দিকে বাসগুলো জেটিঘাটে পৌঁছালে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা হেফাজতে নিয়ে নেন।
সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের যেতে দেওয়া হয়নি। ১৩৪ জনের মধ্যে একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উখিয়ার ইনানী জেটিঘাট থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। সবাই এসেছেন রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ এলাকা থেকে।