পরিশ্রম করেই মামলার জট খুলতে চাই: প্রধান বিচারপতি

বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর আদালত চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

মামলা ডিসপোজালের রেট বেড়েছে। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, আমরা হতাশ নই, আমরা পরিশ্রম করতেছি এবং এই পরিশ্রম করেই মামলার জট খুলতে চাই।

জামালপুর আদালত চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো বিচার বিভাগকে গতিশীল করা এবং বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেই লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন, মামলার অনেক জট এবং লাখ লাখ মামলা এবং সাবোর্ডিনেট আদালতগুলোতে ৩৫ লাখ মামলা পেন্ডিং আছে। মামলা থাকবে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সহনশীল পর্যায়ে মামলাগুলো নিয়ে আসার, যাতে মানুষ দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় না ঘুরে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আপনারা জেনে খুশি হবেন, ৬৪ জেলার ভেতর ৩৪টি জেলায় যতগুলো মামলা ফাইল হয়েছে, ডিসপোজালের রেট তার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ কিছুটা হলেও আগের অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা যদি যা ফাইল হয়, তার চেয়ে বেশি ডিসপোজাল করতে পারি, তাহলে দেখা যাবে, আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মোটামুটি আমরা একটা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসছি। অধীন জুডিশিয়াল আদালতে এই বছরও ১০২ জন নতুন বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এর মাধ্যমে মামলা ডিসপোজালের রেট আরও একটু বৃদ্ধি পাবে।’

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের বিচারকেরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, আপনারা শুনলে খুশি হবেন, আমাদের জামালপুরের ম্যাজিস্ট্রেসিতে গত বছর ১২১ শতাংশ মামলা ডিসপোজাল হয়েছে। জেলা জজশিপের মামলা ডিসপোজালের রেট ছিল ১০১। এই বছরের প্রথম তিন মাসে মামলা ডিসপোজালের রেট বেড়ে ১০৬ হয়েছে। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এই বছরের শেষের দিকে মামলা ডিসপোজালের গতি আরও বাড়বে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার, জামালপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. এহ্সানুল হক, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রমুখ।

পরে আদালত প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃক্ষরোপণ করেন এবং আইন পেশায় ৫০ বছর-ঊর্ধ্ব চারজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞ আইনজীবীকে জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।