রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে আহত বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান আতোমং মারমার (৪২) মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে আতোমং মারমার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ দিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।’
আতোমং মারমার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি বলেন, আতোমংয়ের হাত-পাসহ শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে একই উপজেলার বড়থলি মারমা পাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান আতোমং মারমা। ওই রাতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ২২ মে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিকিৎসাধীন থাকা আতোমং মারমার শারীরিক অবস্থা কিছুদিন ধরে অবনতি হতে শুরু করে। পরে গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।