নিখোঁজের এক দিন পর নীলফামারী জেলা সদরের চাড়ালকাটা নদী থেকে আবদুল ওয়াহেদ (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের যাদুরহাট বেড়াডাঙ্গা গ্রামের ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুল ওয়াহেদ ওই গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, যাদুরহাট বাজারে আবদুল ওয়াহেদের রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দোকান রয়েছে। সম্প্রতি অসুস্থতার কারণে বাক্প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন তিনি।
আবদুল ওয়াহেদের ছোট ছেলে মানিক ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাড়ির বাইরে বের হন তাঁর বাবা। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে নীলফামারী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
তাঁর বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে মানিক ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে চাড়ালকাটা নদীতে হাত বাঁধা অবস্থায় তাঁর বাবার লাশ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউপ বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় দুই হাত বাঁধা ছিল। পায়ে বাঁধা ছিল বালুর ব্যাগ। ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল রোববার লাশ নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।