গজারিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র
মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, কেন্দ্র দখল, গাড়ি ভাঙচুর ও অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হককে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মনিরুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।

এ মামলায় মো. মাসুম নামে মনিরুল হকের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজীব খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, কেন্দ্র দখল, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর ও অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছিল। ওই কেন্দ্রে চেয়ারম্যান মনিরুল হক ও তাঁর লোকজন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। বেলা আড়াইটার দিকে মনিরুলের লোকজন নিয়ে ওই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন। তাঁরা আনারস প্রতীকে সিল মারেন। এতে ঘণ্টাখানেক ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আবারও কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করেন তাঁরা। এ সময় ওই কেন্দ্রের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদিউজ্জামান এলে তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করেন মনিরুলের লোকজন। ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁদের ওপর মুহুর্মুহু ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুনরায় ওই কেন্দ্রের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন মনিরুল হকরা। তাঁদের হামলায় সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগের (২৫) নামে দুই পুলিশ আহত হন।

ওই দিন একই ইউনিয়নে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে ভোটকেন্দ্রের বাইরে সোহেল নামে পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করেন মনিরুল হকের লোকজন। সে সময় ছবি ও ভিডিও করায় দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ও মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি গোলজার হোসেনের মুঠোফোন, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মনিরুল হকের নির্দেশে তাঁর ভাই-ভাতিজা মারধর করেন। এ ঘটনায় মনিরুল হকসহ ১৮ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেন গোলজার হোসেন।