বিএনপির কার্যালয়ে হামলা

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ১৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

বগুড়া জেলার মানচিত্র
বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়ায় শহর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য  আইনের ধারায় আরেকটি মামলা হয়েছে। বগুড়া শহর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আসিফ আশরাফ বাদী হয়ে শনিবার রাতে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমকে (মোহন)। এ ছাড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশিস পোদ্দার এবং শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খানের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ১৫০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের টেম্পল সড়কে শহর বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করা হয়; পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এ ছাড়া আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামলার প্রধান তিন আসামি মঞ্জুরুল আলম, শুভাশিস পোদ্দার, রফি নেওয়াজ খান ছাড়াও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলামসহ ১৫০ জনের নাম রয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, বগুড়া শহর বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে শনিবার রাত ১১টার দিকে একটি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০–২৫০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।