কুমিল্লায় নিজ চেম্বারে ছুরিকাঘাতে আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

জহিরুল হক
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার শাপলা টাওয়ার নামের একটি ভবন পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে ছুরিকাঘাতে আহত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জহিরুল হকের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত জহিরুল হকের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত নুরুল হকের ছেলে। জহিরুল হক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স শাপলা টাওয়ারটি একটি আবাসিক ভবন। এর নিচের দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জহিরুল হক ওই ভবনে পরিবার নিয়ে থাকতেন। একই ভবনের চেম্বার তিনি রোগী দেখেন। ভবন পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে একই ভবনের বাসিন্দা সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়ার সঙ্গে জহিরুল হকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়াসহ কয়েকজন জহিরুল হকের চেম্বারে গিয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা তাঁর পেটে, বুকের পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময়ে জহিরুলের স্ত্রীও আহত হন। পরে জহিরুল হককে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।

চিকিৎসক জহিরুলের স্ত্রী হিমির বড় ভাই কাজী শরিফ বলেন, ‘রেসকোর্সে শাপলা টাওয়ারের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে একদল লোক এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় চিকিৎসক জহির গুরুতর আহত হন। আমার বোনকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সেও চিকিৎসাধীন।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জখমের মামলা করেছিলেন। সেই মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। মামলার প্রধান আসামি সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার রয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।