জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের ভবন নির্মাণের বন্ধ হওয়া কাজ শুরুর দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের ভবন নির্মাণের বন্ধ হওয়া কাজ শুরুর দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে

জাহাঙ্গীরনগরে চারুকলা ভবনের বন্ধ কাজ শুরুর দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের নির্মাণাধীন ভবনের বন্ধ হওয়া কাজ শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার কারণে ভেতরে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা আটকা পড়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভাগের ক্লাসরুম–সংকটের কারণে তাঁরা ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা দিতে পারেন না। চলতি বছর চারুকলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সরকার পতনের পর একদল শিক্ষার্থী তাঁদের ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ আবার শুরুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূরনাহার নূনী বলেন, ‘আমাদের চারুকলার যে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি কয়েক দিন পর পর বন্ধ করে দিচ্ছে, কিন্তু কোনো কারণ দেখাতে পারতেছে না। আমরা ক্লাস করতে পারছি না। আমাদের অনেকগুলো ব্যাচ ক্লাসরুম–সংকটের কারণে সেশনজট লেগে যাচ্ছে। অনেকবার আমরা প্রশাসনের সঙ্গে বসছি, কিন্তু তারা কোনো সমাধান দিতে পারছে না। আমরা আজকে আসছি যাতে আজকেই আমাদের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর একদল শিক্ষার্থী চারুকলা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর ৩১ অক্টোবর একদল শিক্ষার্থী প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং ভবন নির্মাণ স্থগিতের দাবি জানান। পরে ৩ অক্টোবর প্রশাসনিক সভা থেকে সাময়িকভাবে ভবন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চারুকলা বিভাগের ৫২তম শিক্ষার্থী অনুশুয়া আমিন বলেন, ‘আমাদের ভবনের কাজ শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের এতগুলো ব্যাচ শুধু চারটা ক্লাসরুম দিয়ে ক্লাস করছি। আমাদের প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের জন্য কোনো রুম নেই। আমরা চারটা ব্যাচ আউটডোরে কাজ করছি। আমাদের ক্লাসরুম নেই। শুধু এ কারণেই আমাদের পরীক্ষা আটকে আছে।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি নিয়োগ বোর্ডে আছেন বলে জানান।