বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে গেছে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা গেছেন এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সহকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যের নাম মানসুর আহমেদ (৩০)। তিনি ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল ও বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুজনকে সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এর মধ্যে এক ব্যক্তিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জনতার হাট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, তিনি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নদীর মধ্যে বিকট শব্দ শুনে তাকিয়ে একটি বাল্কহেডকে যেতে দেখেন। কিছু সময় পর দেখেন, কয়েক ব্যক্তি লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সাঁতরে কিনারে আসার চেষ্টা করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাওয়া একটি স্পিডবোটে আরও দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশালে নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল স্পিডবোট মালিক সমিতির একটি সূত্র জানায়, আজ বিকেলে ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশালের ডিসি ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। এটি লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় স্পিডবোটের চালকসহ একাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে কতজন এখনো নিখোঁজ, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। স্পিডবোটটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসছিল। প্রাথমিকভাবে স্পিডবোটের চালক ও একাধিক যাত্রী নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। এ তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আছেন।