তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতকাল বুধবার ৮৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এই ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়সহ নানা কারণে ২৫টি উপজেলায় ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া খাগড়াছড়ির স্থগিত দুটি কেন্দ্রে গতকাল ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ একাধিক নেতা প্রার্থী হন।
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো এবারও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে ৮৭টি উপজেলার মধ্যে ৭৫টিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা জয়ী হয়েছেন।
বাকি ১২টির চারটিতে জাতীয় পার্টি এবং ইউপিডিএফ, জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), বাংলাদেশ জাসদ, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা একটি করে উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। বাকিগুলোয় নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে ঢাকা বিভাগের সাতটি জেলার ১৭টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় এক প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। বাকি ১৬টি উপজেলার বেসরকারি ফলাফলে ১৩টিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী এবং জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা একটি করে উপজেলায় জয় পেয়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা ও সাটুরিয়ায় বাংলাদেশ জাসদের (আম্বিয়া) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী (সাজু) বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদপুরের সদরপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম (বাবুল) ও ভাঙ্গায় নির্দলীয় প্রার্থী কাওসার ভূঁইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় জেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ গোলন্দাজ, গোসাইরহাটে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন ও নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আওলাদ হোসেন মৃধা ও শ্রীনগরে উপজেলার কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মাহবুব উল্লাহ জয় পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জের ইটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান, তাড়াইলে জাতীয় পার্টির নেতা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, করিমগঞ্জে জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া মো. মোজাম্মেল হক ও মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট বোন আছিয়া আলম জয়ী হয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান ওরফে তোফা, দেলদুয়ারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান ওরফে মারুফ ও নাগরপুরে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসনের আওয়ামী লীগ–দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল বাতেনের ছেলে কে এম সালমান শামস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি উপজেলার ২৬টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ২৩টি উপজেলার বেসরকারি ফলাফলে জনসংহতি সমিতি একজন, ইউপিডিএফের একজন ও নির্দলীয় এক প্রার্থী ছাড়া বাকি ২০টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জয় পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খান (সাজু) ও বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়ায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (অপি), মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির সদস্য আহসানুল আলম (কিশোর) ও দেবীদ্বারে উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. মামুনুর রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন।
ফেনীর সোনাগাজীতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ (লিপটন), সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল ও দাগনভূঞায় জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবীর বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম শরীফ চৌধুরী (পিপুল), সদরে আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান ও বেগমগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ শাহরিয়ার চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, বোয়ালখালীতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. জাহেদুল হক, পটিয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ও চন্দনাইশে প্রবাসী ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন আহমেদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজারের উখিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রামুতে আওয়ামী লীগের সমর্থক সিরাজুল ইসলাম ও টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাফর আহমদ বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন।
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে জেএসএস (এমএন লারমা)–সমর্থিত বিমল কান্তি চাকমা ও লক্ষ্মীছড়িতে স্থগিত দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের পর ইউপিডিএফের সুপার জ্যোতি চাকমা, রাঙামাটির নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ–সমর্থিত অমর জীবন চাকমা ও লংগদুতে উপজেলা আওয়ামী লীঘের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে খুলনা বিভাগের চারটি জেলার ১১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা ছিল। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও মামলার কারণে সাতটি উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়। বাকি চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ ও একটি জাতীয় পার্টির নেতারা জয় পেয়েছেন।
যশোরের বাঘারপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফ এম আশরাফুল কবির, অভয়নগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। সাতক্ষীরা সদরে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান ও কলারোয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে বরিশাল বিভাগের ১৩টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে কোথাও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে শুধু পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১২টি উপজেলার ভোট ঝড়ের কারণে স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় ধাপে গতকাল সিলেট বিভাগের ১০টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে ১০টি উপজেলায় জয়ী সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা–কর্মী। জয়ী নেতাদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের ছোট ভাইও আছেন।
সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের কর্মী রফিকুল ইসলাম (কিরণ) ও দোয়ারাবাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেটের বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, বিয়ানীবাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব ও ফেঞ্চুগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বির বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ ও শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ভানুলাল রায় বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের লাখাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, সদরে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ তালুকদার জয়ী হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে ময়মনসিংহ বিভাগের আটটি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল গতকাল। এর মধ্যে নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে ভোট স্থগিত হয়েছে। বাকি সাতটি উপজেলার বেসরকারি ফলাফলে একটি বাদে সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু ত্রিশালে নির্দলীয় এক প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ঈশ্বরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বদরুল আলম ও ত্রিশালে নির্দলীয় প্রার্থী মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত নির্বাচিত হয়েছেন। জামালপুরের মেলান্দহে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. দিদারুল পাশা ও মাদারগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্যাহ জয় পেয়েছেন।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল ও মদনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইফতেখারুল আলম খান চৌধুরী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগে গতকাল ছয়টি জেলার ১৪টি উপজেলায় গতকাল ভোট হয়েছে। সব কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা জয়ী হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) হালিমুল হক ও চৌহালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী মোল্লা ও বড়াইগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন জয়ী হয়েছেন।
রাজশাহীর পবায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফারুক হোসেন (ডাবলু) ও মোহনপুরে উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন (বকুল) জয়ী হয়েছেন। বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন সান্নু, সদরে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও শিবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান জয়ী হয়েছেন।
নওগাঁর রানীনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহিদ সরদার ও আত্রাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবাদুর রহমান প্রামাণিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমদাদুল হক, আটঘরিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তানভীর ইসলাম ও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হাসান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে রংপুর বিভাগে ১৩টি উপজেলায় ভোট হয়েছে গতকাল। বেরসরকারি ফলাফলে চারটি বাদে বাকি ৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা জয় পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির নেতারা দুটি উপজেলায় এবং একটি করে উপজেলায় নির্দলীয় ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা জয়ী হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আখতারুল ইসলাম ও নীলফামারী সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। লালমনিরহাট সদরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান সুজন, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এনপির বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন ও সদরে নির্দলীয় প্রার্থী ইকবাল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুরের খানসামায় আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহিদুজ্জামান শাহ, সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদ সরকার ও চিরিরবন্দরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এজহার আলী, ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী ও নাগেশ্বরীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য কে এম মহিবুল হক জয়ী হন। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য রেজাউল করিম ও সুন্দরগঞ্জে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মোস্তফা মহসিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।