ফরিদপুরের সালথার নবকাম পল্লী কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা ও জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলাটি করেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্লাকে। এ ছাড়া আসামির তালিকায় নাম আছে ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কামরুল গাজীসহ আরও আটজনের। কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান, নবকাম কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর বাদী হয়ে ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা’র অভিযোগে মামলাটি করেছেন। মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে।
এসআই নাজমুল হক বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। অধ্যক্ষের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘অধ্যক্ষকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হলো পদত্যাগপত্রে’ শিরোনামে এ–সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। মামলার বাদী নবকাম পল্লী কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেয় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী। এতে নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্লা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কামরুল গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ ঘটনায় ছাত্রদের কোনো দোষ নেই। ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করেছেন ওই নেতারা। ছাত্ররা আমার সন্তানতুল্য। ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।’
আসামি কাইয়ুম মোল্লা বলেন, এলাকায় তিনি একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। আরেকটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব মোল্লা। অধ্যক্ষ এলাকার নানা পক্ষের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ দিয়ে তাঁদের সমর্থিত শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন অধ্যক্ষ ওবায়দুর। যে কারণে তাঁর পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখানে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। মামলায় তাঁকে আসামি করাও উদ্দেশ্যমূলক।