ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী ৪১টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। আজ সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় বেশ কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএ নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা নদীবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
বিরূপ আবহাওয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা। সদরঘাট টার্মিনালে আজ বেলা ১১টার দিকে সেতারা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, চাঁদপুরে যাওয়ার জন্য তিনি সদরঘাট এসে জানতে পারেন লঞ্চ বন্ধ। এখন ভাবছেন সড়কপথে রওনা হবেন।
ভোলার ইলিশা যাওয়ার জন্য আসা ফিরোজ শিকদার বলেন, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর থেকে সদরঘাট আসেন। তখন মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে লঞ্চ ছাড়বে না। তাই পরিবার নিয়ে আবার বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।
চাঁদপুরগামী বোগদাদিয়া লঞ্চের কর্মচারী সোহেল মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাই লঞ্চ চলাচল করবে না।