সড়ক দুর্ঘটনা
সড়ক দুর্ঘটনা

বরিশাল ও ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৮

বরিশাল ও ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানার কাশীপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও আটজন আহত হন। অন্যদিকে গতকাল শনিবার রাতে ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

আজ সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কাশীপুর ব্র্যাক লার্নিং দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের ব্যাপারী পরিবহন বাসের সহকারী মো. সোহাগ (১৯) ও সুপারভাইজার কালাম মিয়া (৪৫)। এ ছাড়া নলছিটির দুর্ঘটনায় নিহতে ব্যক্তিরা হলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আল আমিন (৩৫) ও যাত্রী আলতাফ মুনসি (৭০)।

এসব দুর্ঘটনায় আহত আট যাত্রী হলেন পিরোজপুরের নেছারবাদ উপজেলার ইমন; পটুয়াখালীর খাসেরহাট এলাকার মোহাম্মদ আরিফ, মহিপুরের একরামুল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কামাল হাওলাদার ও রানা; গলাচিপার মো. সোহাগ (২৫), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। তাঁদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মানসী বৈদ্য জানান, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, ব্যাপারী পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। সকাল সাতটার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের সামনে বাসটি একটি ট্রাককে পেছন থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। সেই সঙ্গে ট্রাকটি মহাসড়কের পাশের পুকুরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজার নিহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাকের চালকেরা পালিয়ে গেছেন।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাত পৌঁনে একটার দিকে নলছিটি উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারে বরিশাল-ঝালকঠি মহাসড়কে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে দুজন নিহত হন বলে জানান নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরাদ আলী। তিনি বলেন, ওই রাতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজি দেখতে পেয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

সিএনজি চালক আল আমিনের বন্ধু মিঠু জানান, যাত্রী নিয়ে আল আমিন ঝালকাঠি গিয়েছিল। সেখান থেকে এক বৃদ্ধ যাত্রীকে নিয়ে বরিশাল নগরে ফিরছিল। শ্রীরামপুর বাজারে পৌঁছালে ঢাকা থেকে  পিরোজপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।