মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গণমহাবিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও অমিত সূত্রধর (১৮)। অটোরিকশাটি কমলগঞ্জের ভানুগাছ শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা বাজার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি শিশু রাস্তার মাঝখানে চলে আসে।
শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় অটোরিকশাটি। এ ঘটনায় ওই শিশুটি আহত হলেও না–ফেরার দেশে চলে গেল দুই বন্ধু।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কমলগঞ্জের বটতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শিক্ষার্থীদের নিহত ও আহত হওয়ার খবরে শোক প্রকাশ করেছে কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়।
নিহত দুই বন্ধু হলো শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম ও একই উপজেলার ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮)। তারা কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ সময় শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (১৮), গীরু দেবের ছেলে সৈকত দেব (১৮) ও শিশু জান্নাতুল (১১) আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি হঠাৎ করেই রাস্তা পার হতে গিয়ে চলন্ত অটোরিকশার সামনে চলে আসে। চালক শিশুকে বাঁচাতে অটোরিকশাকে রাস্তার এক পাশে নিয়ে যেতে চাইলে রাস্তার পাশে এটি উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সায়েমের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আহত অমিত ও শিশু জান্নাতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে অমিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা তাদের লাশ উদ্ধার করেছি। নিহতদের পরিবার থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেওয়া হবে।’