টাঙ্গাইলে আইনজীবীর সহকারী খাদিজা আক্তার (২৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাশেদুল রহমান ওরফে রাশেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার সাভার উপজেলার আমতলা মোড় থেকে রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাশেদুল টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নলখোলা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। খাদিজা কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপির গ্রামের মৃত নূরুল হকের মেয়ে।
আজ দুপুরে টাঙ্গাইল র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, খাদিজা আক্তার ও রাশেদুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁরা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। পরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শহরের বটতলা এলাকায় হেলালুজ্জামানের বাসার তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
৩ সেপ্টেম্বর খাদিজার বড় বোন ও ভাগিনা ওই বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে তাঁরা বাড়ির মালিকের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে খাদিজার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার পর থেকেই রাশেদুল রহমান পলাতক ছিলেন। পরদিন নিহত নারীর বড় ভাই ইমান হোসেন বাদী হয়ে রাশেদুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
রাশেদুল র্যাবের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খাদিজার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও আর্থিক লেনদেনের কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়। আজ দুপুরে গ্রেপ্তার রাশেদুলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।