কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে নির্মিত জেটি
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে নির্মিত জেটি

কক্সবাজারে মানববন্ধন

সাত দিনের মধ্যে ইনানী জেটি ভেঙে ফেলার দাবি সাত পরিবেশ সংগঠনের

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে নৌবাহিনী নির্মিত ভাঙা জেটিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সাতটি সংগঠনের নেতারা।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এই দাবি জানান। সাত পরিবেশবাদী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নদী পরিব্রাজক দল, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস), সেভ দ্য এনভায়রনমেন্ট অব বাংলাদেশ (সেব) ও গ্রিন ভয়েস কক্সবাজার।

বাপা কক্সবাজার জেলা সভাপতি এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম, বেলার কক্সবাজার নেটওয়ার্ক সদস্য ইব্রাহিম খলিল, নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য শামশুল আলম, জাফর আলম, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস সভাপতি ইরফান উল হাসান, পরিবেশ সংগঠক নেজাম উদ্দিন প্রমুখ।

এইচ এম এরশাদ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দ্বিখণ্ডিত করে ইনানী সৈকতে ওই জেটি নির্মাণ করা হয়। জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও তা আর অপসারণ করা হয়নি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জেটিটির মধ্যভাগের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। অবশিষ্ট জেটির অংশও ভেঙে ফেলা জরুরি হয়ে পড়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ভাঙা জেটিটি অপসারণ করতে হবে। নইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জেটি অপসারণের পক্ষে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জেটি উচ্ছেদের দাবিতে প্রবেশবাদী সাতটি সংগঠনের মানববন্ধন

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর ইনানী সৈকতের ভাঙা জেটি অপসারণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আট কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই চিঠি প্রেরণ করেন বেলার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

চিঠিতে বলা হয়, আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে একটি জেটি নির্মাণ করা হয়। জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও তা আর অপসারণ করা হয়নি।

গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাতে জেটিটির মধ্যভাগের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। জেটিটি প্রতিবেশগত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে দাবি করেছে পরিবেশ সংগঠনগুলো।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে অবৈধ জেটিটি উচ্ছেদ এবং জেটি দিয়ে প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়।