পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষকের সঙ্গে কর্মকর্তার অসদাচরণের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে শিক্ষকের সঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তার অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে উঠে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের কাছে এই প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। এরপর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বৈঠক করেন। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সামসুল হক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কৃষি কুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ঘটনাটি শিক্ষক সমিতিকে লিখিতভাবে জানান। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জনসহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত সামসুল হককে ওএসডি করেছে। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জিহাদ পারভেজ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবেদনে শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা এখনো জানেন না তাঁরা।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে অভিযোগে শিক্ষককে আঘাত করা হয়েছে বলা হলেও তদন্তে তা প্রমাণিত হয়নি। দোষী সাব্যস্ত হলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটিই স্বাভাবিক।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সকলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে এখনো আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’