ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত

দুই বিচারকের বদলি ও নাজিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনজীবীদের আলটিমেটাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি ও নাজিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। এর মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আবার কর্মবিরতির কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার বিকেলে সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বিষয়টি নিয়ে (গত বৃহস্পতিবার রাতে) আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আগামীকাল রোববার সবাই আদালতে ফিরে যাবেন। তবে আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার ও বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে যাবেন না।

তানভীর ভূঞা বলেন, ২৪ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা হবে। এর মধ্যে যদি জেলা জজ শারমিন নিগার, বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে বদলিসহ জেলা নাজির (বর্তমানে প্রেষণে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদার) মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অপসারণ না করা হয়, তাহলে আবার সব আদালতে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।

শীতকালীন ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় ১ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ছয় কার্যদিবস কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। এর আগে ৪ জানুয়ারি এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এতে আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে প্রার্থনা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি পাঠান বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুলসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।