ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবীরসহ ২৮ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী হয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, গতকাল থানা-পুলিশের সদস্যরা গাড়িতে করে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা মহল্লার সড়কে টহল দিচ্ছিলেন। এটি ছিল তাঁদের নিয়মিত টহলের অংশ। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক ককটেল ছুড়ে মারেন। একটি ককটেল সেখানে বিস্ফোরিত হয়। অবিস্ফোরিত বাকি তিনটি ককটেলসহ আরও কিছু আলামত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, তাঁদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ও পুলিশের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবীর বলেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে একটি শোভাযাত্রা করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ি। পরে কার্যালয়ে ফিরে এসে দোয়া-মাহফিল করে নেতা-কর্মীরা চলে যায়। আমরা চলে যাওয়ার পর সেখানে কী ঘটেছে, তা জানি না।’
এ মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটির নেতা মো. হারুন অর রশিদকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। এখন মামলার নাটক সাজিয়ে পুলিশ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের এলাকাছাড়া করতে চাইছে। ককটেল বিস্ফোরণের মতো কিছু হয়নি। তিনি হয়রানিমূলক এসব মামলার তীব্র নিন্দা জানান।