পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সভাপতি-সম্পাদককে কেন্দ্রের নোটিশ

প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে সংঘর্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষর করা এই নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সামান্য ভুল–বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কারও উসকানিতে শিক্ষার্থীরা বিরোধে জড়াল কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রের নোটিশ পেয়েছি। সাংগঠনিকভাবে সেটির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

গতকাল শনিবারের সংঘর্ষের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোনো নেতাকেই ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঘটনার পর আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এরপরও কারও কোনো অভিযোগ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই গতকাল বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলামের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মিনহাজুল ইসলাম ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল রাখতে গেলে সাধারণ সম্পাদক মো. নূর উল্লাহর সমর্থক সাব্বির হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতিও হয়। এর জের ধরে বেলা দুইটার দিকে পুনরায় লোকজন নিয়ে দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন। সংঘর্ষে ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই গতকাল বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলামের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মিনহাজুল ইসলাম ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল রাখতে গেলে সাধারণ সম্পাদক মো. নূর উল্লাহর সমর্থক সাব্বির হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতিও হয়। এর জের ধরে বেলা দুইটার দিকে পুনরায় লোকজন নিয়ে দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন। সংঘর্ষে ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।