ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউএনও কার্যালয়ে সাফজয়ী মাতসুশিমা সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আজ রোববার বেলা ১১ টায়
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউএনও কার্যালয়ে  সাফজয়ী মাতসুশিমা সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আজ রোববার বেলা ১১ টায়

সাফজয়ী সুমাইয়াকে নবাবগঞ্জে সংবর্ধনা

সাফজয়ী মাতসুশিমা সুমাইয়াকে ঢাকার নবাবগঞ্জে সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী। আজ রোববার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও দুপুরে নিজ এলাকা চুড়াইনের সাধারণ মানুষ তাঁকে এ সংবর্ধনা দেন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেন ইউএনও দিলরুবা ইসলাম ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় সাফজয়ী ফুটবল খেলোয়াড় মাতসুশিমা সুমাইয়ার সঙ্গে তাঁর বাবা উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মো. মাসুদুর রহমান ও মা মাসুশিমা তমোমী উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়া জাপানে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি মা–বাবার সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। তিনি ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে তাঁকে ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় প্রশাসনসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রায় ১০ বছর পর মা–বাবার সঙ্গে নিজ এলাকায় আসেন এ কৃতী সাফজয়ী।

এদিকে নবাবগঞ্জের চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তাঁকে দেখতে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চুড়াইনের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, সময়ের কারণে তাঁকে ছোট পরিসরে সম্মাননা দেওয়া হলো। সুমাইয়ার ব্যস্ততা কমলে নিজ এলাকায় জিকেটি ক্লাব মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মেয়ে দেশের বাইরে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকায় গ্রামে খুব কম আসা হয়। তবে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও স্বজনদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

তসুশিমা তমোমী বলেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে। গ্রামের মানুষ অনেক ভালো। তাঁরা আমাদের আনন্দ দিচ্ছে।’ সুমাইয়াকে কাছে পেয়ে অনেকেই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন।

সুমাইয়া বলেন, ফুটবল খেলার প্রতি তাঁর অনেক টান। তিনি খেলাধুলা চালিয়ে যাবেন। ভবিষ্যতে দেশকে আরও সম্মানের জায়গায় আনতে চান। মেয়েরাও ক্রীড়াঙ্গনে ভালো করতে পারবে। তবে সুযোগ দিতে হবে।

এ বিষয়ে ইউএনও দিলরুবা ইসলাম বলেন, ‘সাফজয়ী সুমাইয়া আমাদের আলোকিত করেছে। খেলাধুলার প্রতি আমরা দৃষ্টি বাড়াতে চাই। নবাবগঞ্জের প্রতিটি ঘরে সুমাইয়া তৈরি হোক, এটাই আমরা চাই।’