সোনা দিয়ে বেল্টের বকলেস ও হাতের ব্রেসলেট বানিয়ে তা পরে ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন দুই যুবক। বাস তল্লাশি করার সময় আচরণ দেখে সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করে এসব সোনা উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে সোনাসহ তাঁদের আটক করে লবণচরা থানার পুলিশ। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর একই থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দিকে যাওয়া এক যুবকের পেট এক্স–রে করে আটটি সোনার বার উদ্ধার করে।
আটক হওয়া দুই যুবক হলেন রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার মহব্বত পাড়া এলাকার বাবলু ধর (৩৮) ও চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আজাদী বাজার বাণিকপাড়া এলাকার নয়ন মানিক (২৬)। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বেল্টের দুটি স্বর্ণের বকলেস ও একটি ব্রেসলেটে স্বর্ণের ওজন ৫০ ভরি ১৪ আনা ৩ রতি।
আজ বিকেলের দিকে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে আসামি করে লবণচরা থানায় মামলা করেছেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ বৈদ্য। মামলা হতে দেরি হওয়ায় আজ তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামান।
ওসি তৌহিদুজ্জামান জানান, নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে সাচিবুনিয়া মোড়ে ঢাকা থেকে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় দুই যুবকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ভালো করে তল্লাশি করা হয়। কিন্তু কিছু না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল। পরে একটু চাপ দিলে তাঁরা স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করেন। বেল্টের বকলেস ও ব্রেসলেটে সোনা রয়েছে বলে জানান। পরে সেগুলো যাচাই করা হয়েছে। স্বর্ণগুলো চট্টগ্রাম থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে ভারতে পাচার করা হতো।
স্বর্ণ পাচারের জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন পাচারকারীরা। ওই দুজন সোনা গলিয়ে বেল্টের বকলেস ও ব্রেসলেট তৈরি করেন। কেউ যেন বুঝতে না পারে, সে জন্য বকলেসের ওপর রুপার আবরণও দেওয়া হয় বলে জানান ওসি তৌহিদুজ্জামান।